ছাব্বির হোসেন কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা পৌর ১ নং ওয়ার্ডের কাজী পাড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় মৃত কুঞ্জল লাল দাস এর পুত্র শ্রী রানজিত কুমার দাসের তিনি পেশায় একজন শ্রমিক। ৭৪ বছরের এই বৃদ্ধকে ভোটার তালিকায় ১০ বছর ধরে মৃত করে রাখা হয়েছে। শুনতে হাস্যকর হলেও এমনি অবাস্তব ঘটনা ঘটেছে।
যার ফলে এই বৃদ্ধ রানজিত কুমার দাস জীবিত থেকেও ১০ বছর ধরে কোনো নাগরিক সুবিধা ভোগ করতে পারছেন না। তার নিজের নামের ভাতার কার্ড টিও বাতিল হয় ভোটার কার্ডে নাম না থাকার কারণে।
রানজিত এখন সমস্ত নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত । শুধু তাই নয়, দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নির্বাচন, পৌর নির্বাচন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দিতে পারছেন না।
শ্রী রানজিত কুমার দাস বলেন, আমার পরিচয়পত্রের নম্বর ৫০২৭১০১৪৬৮৯৬৯। এই পরিচয়পত্র দিয়ে গত দুটি নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে বলা হয় তালিকায় তাঁর নাম নেই। আমাকে মৃত ঘোষণা করে হয়েছে। ব্যাংকে হিসাব খুলতে গেলেও বলে, তাঁর কার্ড সঠিক নয়। মোবাইলের সিম কিনতে গেলেও একই দশা। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, ডাটাবেইজে তাঁর স্ট্যাটাসে মৃত লেখা রয়েছে।
এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে রনজিত, এক জন জীবিত ব্যক্তি কে কোন মৃত সনদ ছাড়া কেমন করে মৃত ঘোষণা করা হয় তার প্রশ্ন ?? পরবর্তী সময়ে কুমারখালী নির্বাচন কমিশনের কাছে গেলে কোন সমাধান করনি। নতুন তালিকায় নাম সংযুক্তির অপেক্ষা করি। কিন্তু পরেও ত’ নাম আসেনি। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করলেও এর সমাধান হয়নি। তাই এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করছি।
এ ব্যাপারে কুমারখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শিরিনা আক্তার বানু বলেন, পৌর ১ নং ওয়ার্ডের শ্রী রানজিত কুমার দাস কে নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। আমি এখানে যোগদানের পর আমার কাছে এমন কোন অভিযোগ পাইনি। তবে এই বিষয়ে ভুক্তভোগী আবেদন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply