স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়ার চৌড়হাস বাস টার্মিনালের পাশে টেস্টি প্লাস ওভাল ফুড প্রোডাক্টস এর কারখানা। তৈরি করা হয় কেক, টাউরুটিসহ নানা ধরনের খাদ্যপণ্য। যা প্রতিদিন সরবরাহ হচ্ছে শহর থেকে গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তের দোকানে। খাদ্যপন্য তৈরির বিধিমালা অনুসারে খাদ্যপন্যের প্রতিটি প্যাকেটের গায়ে মেয়াদের সীল উল্লেখ করার কথা থাকলেও এখানে সে ধরনের কোন বিধি নিয়ম মানার বালায়ই নেই। ফলে কবে তৈরী, কবে মেয়াদ শেষ ভোক্তাদের জানার কোন উপায় নেই। যা ভোক্তা আইনের সম্পূর্ন বহির্ভূত ও খাদ্যপণ্য বিধিমালার অনুসারে সম্পূর্ন অবৈধ। এভাবেই দিনের পর দিন কুষ্টিয়া শহরে প্রাণ কেন্দ্রে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে টেস্টি প্লাস ওভাল ফুড প্রোডাক্টস।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে মেয়াদ উত্তীর্ন যে কোন খাবার গ্রহণ শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কে শোনে কার কথা! মুনাফাই যেখানে মুখ্য, ভোক্তা সেখানে অসহায়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন দোকানে মেয়াদ বিহীন, পাউরুটি, কেক, বিভিন্ন ধরনের বিস্কুটসহ বেশ কয়েকটি খাদ্যপন্য বিক্রয় হচ্ছে। যে পন্যগুলো টেস্টি প্লাস ওভাল ফুড প্রোডাক্টস কারখানার তৈরি।
এ বিষয়ে একাধিক দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেয়াদ না থাকায় খাদ্যপণ্যগুলো তারা দীর্ঘদিন ধরে বিক্রয় করছে। তাদের বক্তব্য কারখানা মেয়াদ না দিলে আমাদের কি করার আছে!
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক চা-দোকানদার বলেন, বাবা আমরা মুখ্য সুখ্য মানুষ লেখাপড়া পারিনা কেক এ এর মেয়াদ আছে কি নাই এ বিষয়ে তেমন বুঝিনা তবে টেস্টি প্লাস কোম্পানির লোক এসে আমাদের কেকে, বিস্কুট, পাওরুটি দিয়ে যায় তা আমরা বিক্রি করি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস সরকার বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ যেকোনো খাবার খেলে পেটে বিষক্রিয়া ও ডায়রিয়া হতে পারে, মেয়াদ উত্তীর্ণ সকল খাবার এড়িয়ে চলায় ভালো।
এ বিষয়ে কারখানা মালিক সেলিম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে ‘ভুল হয়েছে আর হবে না’বলে সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ না করতে অনুরোধ করেন।
দেশতথ্য//এল//
Leave a Reply