স্টাফ রিপোর্টার:
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ৫০ নং মাজিলা সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফিরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সংস্কার বাবদ বিভিন্ন আসবাবপত্র ক্রয়ের নামে,বিদ্যলয়ের অবকাঠামো সংস্কার না করে ভুয়া বিল ভাউচারে ওই প্রধান শিক্ষিকা হাতিয়ে নিয়েছেন দুই লাখ টাকা। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিরাজুম মনিরা জানায় এরকম ঘটনা আমাদের নজরে আসনি বা কেউ কোন লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ করেনি। আপনার মারফত জানলাম, খোজ খবর তদন্ত পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, স্কুলের অবকাঠামো সংস্কার ও টয়লেট পরিস্কার এবং প্যান সংস্থাপনসহ বিদ্যালয়ের মালামাল ক্রয়ে ব্যপক অনিয়মমের সন্ধ্যান পাওয়া গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় সাইদ হার্ডওয়ার এন্ড ইলেকট্রনিক বাংলা বাজার, জেলখানা মোড়, কুষ্টিয়া,তারিখ ৩১-০৫-২০২০,ক্যাশ মেমোনং ১৩৬২ তে বার্জার পেইন্ট,ওয়েদার কোট, এনামেল পেইন্ট, প্যান, ব্রাশ ও তারপিন বাবদ এক লক্ষ একহাজার দুই শত টাকার ভাউচার অনুরূপ ভাবে বৈশাখী ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ, ঝিনাইদহ রোড, কুষ্টিয়া, তারিখ ৩১-০৫-২০২ক্যাশ মেমো নং ৮৩ একটি স্টিল দরজা ,যাহার মূল্য আটহাজার তিনশ পঞ্চাশ টাকা, আরেকটি ভাউচার ইতি এন্টারপ্রাইজ, চারুলিয়া ,তালবাড়িয়া ঘাট, মাঠপাড়া,সবজিফার্ম,জুগিয়া,কুষ্টিয়া ,তারিখ, ৩১-০৫-২০২০ মোটা বালি ১০০০ ফিট ৩০ হাজার টাকা ক্যাশ মেমো নং১৫,মেসার্স গ্রামীণ ট্রেডার্স, বাংলা বাজার, জেল খানা মোড়, কুষ্টিয়া, ৪৫০ টাকা দরে ৭৫ বস্তা ৩৩ হাজার ৭৫০টাকা এবং শ্রমিক হাজিরা বাবদ ২৬ হাজার ৭০০ টাকা মোট খরচ দুই লক্ষ টাকা। এদ সংক্রান্ত ভাউচার গুলোর সত্যতা যাচাই করতে উক্ত প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনে উপস্থিত হলে সকলেই একবাক্যে স্বীকার করে ভাউচার আমার না কম্পিউটারে হাত বানানো। আমার প্রতিষ্ঠানের ভাউচার এমন নমুনা দেখায়। প্রধান শিক্ষিকা ফিরোজা খাতুনের ভাউচারের সাথে কোন মিল নেই। তিনি জালিয়াতি করেছে,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী দের মন্তব্য ।আমার কাছ থেকে পন্য ক্রয় না করে আমার ভুয়া ভাউচার বিল ব্যবহার ভয়ানক অপরাধ, এটা ঠিক হয়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে ক্ষমতার অপব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ ফিরোজা খাতুন ভার প্রাপ্ত হয়ে আছে। নিজ সৃষ্ট পকেট কমিটি দিয়ে চালিয়ে আসছে স্কুল । সুলতানা খাতুন সভাপতি ও ছয় সদস্য বিশিষ্ট ম্যানেজিং কমিটি সাহানাজ খাতুন, কেরামত আলী, মোছাম্মদ বেদনা খাতুন, আখের আলী,মোছাম্মদ ময়না খাতুন।
এলাকার শিক্ষিত অধিবাসীদের বিরূপ মন্তব্য প্রধান শিক্ষিকা ফিরোজা খাতুনের পকেট কমিটির বিরুদ্ধে। স্কুলের বাথরুমে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায় ভাঙাচোরা প্যান(পায়খানা) যা ব্যবহার সম্পূর্ণ অনুপযোগী ।পাশে টিনের বেড়ার চাক পায়খানা যা স্বাস্থ্য সম্মত নয়।
দেশতথ্য//এল//
Leave a Reply