স্টাফ রিপোর্টার:
কুষ্টিয়ার মিরপুরের মালিহাদ অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পটি শনিবার প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সিনিয়র এএসপি আজমল ও মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্থফা সঙ্গীয় ফোর্সসহ মালিহাদ ক্যাম্পের সকল অস্ত্রসস্ত্র এবং আসববাপত্র নিয়ে যান।
শনিবার (২ জানুয়ারী) ১১ টার সময় ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করা হয়।এ সময় স্থানীয় সাধারণ জনতা নারী-পুরুষ ক্যাম্প চত্বর ঘোরও করে ক্যাম্পটি বহাল রাখার দাবিতে তাদের অবরোধ করে রাখে। প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী সিনিয়র এএসপি আজমল হোসেন তাদেরকে বুঝিয়ে বেলা ১ টার সময় তারা মালিহাদ ক্যাম্পের সকল মালামাল নিয়ে চলে যান।
মিরপুর থানা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দুরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত মালিহাদ ইউনিয়নটি। নব্বই দশকে যখন মালিহাদ এলাকায় সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য ছিল তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এলাকায় পৌছানোর আগেই সন্ত্রাসীরা অপরাধ কর্মকান্ড করে পালিয়ে যেত।
এলাকার মানুষের শান্তির জন ১৯৯৯ সালে অস্থায়ী ভাবে এই ক্যাম্পটি মালিহাদ ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লক্সে স্থাপন করা হয়। এলাকাবাসী নিজেদের অর্থয়ানে জানমালারে নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পটি স্থায়ী করার লক্ষে মালিহাদ বাজারের পশ্চিম পাশে এক একর পাচঁ শতক জমি ক্রয় করেন জেলা পুলিশ সুপারের নামে। বর্তমানে ক্যাম্পটি প্রত্যাহার করায় আবারও মালিহাদ অঞ্চলটি অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে স্থানীয় সাধারণ জনতা আতংকিত।
স্থানীয় এলাকাবাসী আব্দুল হামিদ জানান, আমরা এলাকাবাসী চাই যে আমাদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ক্যাম্পটি পূনরায় স্থাপন করা হোক।
মালিহাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমঙ্গীর হোসেন জানান, আমরা এলাকার জনসাধারণের জানমালালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের উপর মহলে জোর দাবি জানাচ্ছি আমাদের ক্রয়কৃত জমিতে দ্রুত পুলিশ ক্যাম্পটি স্থাপন করা হোক। আমরা ক্যাম্পের জন্য যে জমি ক্রয় করেছি প্রয়োজন হলে বিল্ডিংও আমাদের নিজেদের অর্থয়ানে নির্মান করে দিব তবুও আমাদের ক্যাম্পটি পুনরায় স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হোক।
এ বিষয়ে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্থফা জানান, সরকারী নির্দেশনা ছিল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পগুলো প্রত্যাহার করার জন্য সেই নির্দেশ মোতাবেক আমাদের কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার নির্দেশ দিলে মালিহাদের অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পটি শনিবার প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
দেশতথ্য//এল//
Leave a Reply