স্টাফ রিপোর্টার:
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাকে অমান্য করাই কুষ্টিয়া পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মহল।গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একের পর এক কাজ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে পাইয়ে দিচ্ছেন তিনি। মানছেনা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনাকে ।
সূত্রমতে, কুষ্টিয়া পাউবো’র ঠিকাদার সালেহ আহমেদ ২টি, লিয়াকত আলীর নামে ৪টি, নাসির উদ্দিন মোল্লার নামে ৩টি, সৈকত এন্টারপ্রাইজের নামে ২টি, ন্যাচারাল ২টি, ন্যাশোন টেক ৩টি তাজোওয়ার ট্রেড সিস্টেম লিঃ ২টি ১০%২০% চলমান কাজ সম্পন্ন হয়নি , তার পরেও নতুন করে ন্যাচারাল সালে আহমেদ ও ন্যাচারাল লিয়াকত আলীকে আবারো কাজ পাওয়ে দিয়েছেন নির্বাহি প্রকৌশলী
পীযূষ কৃষ্ণ কুন্ডু । এতেই প্রমাণিত হয় যে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা
অমান্য করেছেন তিনি। নির্বাহী প্রকৌশলী তাদের সাথে আঁতাত করে পুনরায়
তাদেরকে শত কোটির টাকার কাজ পাইয়ে দিয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী নামে বেনামে গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার
সম্পত্তি। অন্যদিকে বাকি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গুলো কাজ না পেয়ে হতাশার
মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে। সূত্রমতে নির্বাহী প্রকৌশলী চুক্তি মোতাবেক
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়েই খ্যান্ত নয়,ঐ সকল কাজের গুনগত মান
নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। চলমান সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের
দূর্নিতীর কারনে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হচ্ছে, অপর দিকে সরকারী
অর্থ অপচয় হয়ে ব্যক্তি বিশেষের পকেটস্থ হচ্ছে। এ বিষয়ে দূর্নীতি দমন
কমিশন (দুদুক) কুষ্টিয়া পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
করলেই বেরিয়ে আসবে কোটি কোটি টাকার দূর্নীতির রহস্য এমনটি অভিমত ব্যক্ত
করেছেন সংশ্লিষ্ট একাধিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
উল্লেখ্য গত ২৪ নভেম্বর ২০২০ইং মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের
নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশনা দেন
কোন ঠিকারী প্রতিষ্ঠান চলমান কাজ শেষ না করলে নতুন কোন কাজ দেয়া যাবে না
। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ
সদস্য মো: আসাদুল ইসলাম। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তুলে ধরে সচিব
বলেন , আমাদের অনেক প্রকল্প, নির্মাণে দেরি হয়ে যায়। এই দেরির একটাই কারণ
হলো একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনেক গুলো কাজ পেয়ে থাকে। মুষ্টিমেয়
প্রতিষ্ঠান কাজ করে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কে কত গুলো কাজ পেয়েছে, কাজ
সময় মতো শেষ করেছে কি না, কোন সময় শেষ করেছে, এ সবের একটি তালিকা সব
মন্ত্রণালয় তৈরি করবে এবং তা প্রকাশ করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন সেই সভায়।
চলমান কাজ শেষ করলে পরের কাজ পাবে। এর দুটি’র উদ্দেশ্য। একটি হলো নতুন
নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে নির্মাণ কাজের জন্য, মুষ্টিমেয় প্রতিষ্ঠানের
মধ্যে সীমিত থাকবে না। দ্বিতীয়ত সময় মতো নির্মাণকাজ শেষ হবে।
দেশতথ্য//এল//
Leave a Reply