কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় এক ব্রাক ব্যাংকের ম্যানেজার দ্বিতীয় বিয়ে করতে এসে ধরা খেলেন প্রথম পক্ষের স্ত্রীর হাতে । ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া জেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনী পাড়া গ্রামে এক পরিবারের সাথে।
শুক্রবার (৬-নভেম্বর-২০) কনে বউ সেজে আছে বাড়িতে । বিয়ে হবে সেই আয়োজন সম্পন্ন খাওয়া-দাওয়া প্যান্ডেল সবকিছুই ঠিকঠাক ছিল । বরও সেজে বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়ি হাজির হয়েছিল । হঠাৎ কালো মেঘের মতো অন্ধকার নেমে আসলো কনের পরিবারের। বিয়ে হবে না।
কারণ কনের পরিবারে এসে হাজির হয়েছিল ব্রাক ব্যাংকের ম্যানেজারের প্রথম পক্ষের স্ত্রীরসহ তার পরিবার । এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজার শফিকুল বিবাহিত তার একটি স্ত্রী ও একটি সন্তান আছে । কথাটা গোপন রেখে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে পালিয়ে এসে বিয়ের পিরিতে বসেছিলো শফিকুল । প্রথম পক্ষের পরিবার বিয়েতে বাধা দিলে । কনের পরিবারে জোর করে বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে । প্রথম পক্ষের স্ত্রীর ভাইয়ের অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ ও কুমারখালী বাঁধবাজার ক্যাম্প ইনচার্জ হাজির হন কনের বাড়িতে।
বিয়ের সম্পূর্ণই না হওয়াই কুমারখালী বাঁধবাজার ক্যাম্প ইনচার্জ বরের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন । মুচলেকায় উল্লেখ করেন তিনি এরকম কাজ আর করবে না।
কুমারখালী থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামের পশুর হাটের এলাকার মৃত শামসুদ্দিন মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম মন্ডল দ্বিতীয় বিয়ে করতে এসে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর হস্তক্ষেপে বিয়ে বন্ধ হয়ে যায় । আরো জানা যায়, বর্তমানে সে যশোর ব্রাক ব্যাংকে কর্মরত আছে।
দেশতথ্য//এল//
Leave a Reply