নিরাপদ সড়কের দাবিতে সৈয়দপুরে মানববন্ধন
নীলফামারী প্রতিনিধি নীলফামারী পথ যেন হয় শান্তির, মৃত্যুর নয়, জনগনের প্রত্যাশিত সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর পুর্ন বাস্তবায়ন চাই দাবিতে মানববন্ধন করেছে, নিরাপদ সড়ক চাই সৈয়দপুর শাখা। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়ক সংলগ্ন প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী জেলার সংরক্ষিত আসনের এমপি রাবেয়া আলিম, ইন্জিনিয়ার রাশেদুজ্জামান রাশেদ, সৈয়দপুর উপজেলা শাখার (নিসচার) সভাপতি মাহফুজার রহমান রুবেল, সাধারন সম্পাদক কামাল ইকবাল ফারুকী ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সানজিদা আকতার লাকি।
সাথে ছবি আছে
সৈয়দপুরে চাল চুরির অভিযোগে ডিলারের লাইসেন্স বাতিল
নীলফামারী প্রতিনিধি ঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী (মুজিববর্ষে) দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী সরকার কর্তৃক অসহায় ও অসচ্ছল মানুষদের জন্য চালুকৃত খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় দেওয়া ১০ টাকা কেজির চালের সুবিধাভোগীর কার্ড আত্মসাৎ ও ওজনে কম দেওয়ার ঘটনা হাতেনাতে ধরা পড়ায় ডিলারের লাইসেন্স বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ডিলার নাম আবু সাইদ চৌধুরী বাবু। তিনি ৩০ কেজির স্থানে ২৫ থেকে ২৭ কেজি করে চাল দেওয়ায় সুবিধাভোগী প্রতিবাদ করলেই তাদেরকে নানাভাবে হয়রানী ও অপমান করা হতো। বিশেষ করে ইউনিয়নের পশ্চিমাংশের ওয়ার্ডগুলোর কার্ডধারীদের ব্যাপকভাবে হেনস্তা করেন তিনি। এ নিয়ে অভিযোগ করায় অনেকের কার্ড কেড়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে ডিলার।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন ১নং ওয়ার্ডের বোতলাগাড়ী নাপিতপাড়ার শ্রী খোকা চন্দ্রের ছেলে অশ্বিনী চন্দ্র, যতীন চন্দ্রের ছেলে রনজীৎ চন্দ্র, তাতীপাড়ার আব্দুল আজিজের ছেলে মো. মজিদুল, ধুলাতিপাড়ার মো. জাফর আলীর ছেলে মো. জাহিদুল ও পশ্চিম হাজীপাড়ার মৃত কাছান মামুদের ছেলে আব্দুল খালেক।
তারা জানান, ২০১৬ সালে আর্থিকভাবে অসচ্ছলতার কারণে ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মোতালেব কার্ড করে দেন তাদের। অক্টোবর মাসে কার্ড পেয়ে মাত্র ২ মাস চাল উত্তোলন করেন তারা। এরপর চাল আনতে গেলে তাদের কার্ড বাতিল করা হয়েছে বলে কেড়ে নিয়েছে ডিলার আবু সাইদ চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে মেম্বারের মাধ্যমে চেয়ারম্যান আল হেলাল চৌধুরীর কাছে অভিযোগ দিলেও দীর্ঘ দিনেও তিনি কোন সুরাহা করেনি। এভাবেই কেটে গেছে ৪ বছর।
তারা আরও জানান, সম্প্রতি জানতে পারেন তাদের কার্ড বহাল আছে এবং কে বা কারা তা দিয়ে বিগত দিনগুলোতে চাল তুলে আত্মসাৎ করেছে। ফলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এদিকে গত ২২ অক্টোবর ডিলার আবু সাইদ চৌধুরীর চাল কম দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তৌহিদুর রহমান তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হন এবং হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এর প্রেক্ষিতে ডিলার লাইসেন্স বাতিল করে ডিলার আবু সাইদ চৌধুরী বাবুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রশাসন।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাসিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চাল কম দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ডিলারের লাইসেন্স বাতিল ও জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চাল আত্মসাৎ ও কার্ড কেড়ে নেওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দেশতথ্য//এল//
Leave a Reply