দৈনিক দেশতথ্য ডেস্ক: কুষ্টিয়া শহরের এন.এস. রোড সংলগ্ন (মৌবনের পেছনে) পুরাতন স্যাঁতস্যাঁতে বিল্ডিংয়ে করোনা কালেও চলছে কুষ্টিয়া জেলা ও গার্লস স্কুলের এডমিশন কোচিং বাণিজ্য ।
সরকার যেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখেছে, ঠিক সেই সময় ইভা ম্যাডাম জটলা বাধিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে কোচিং বাণিজ্য। করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কায় সরকার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলেও ইভা ম্যাডামের কোচিং( যার কোন নাম নিবন্ধন কিছুই নাই) বন্ধ রাখা অসম্ভব। বদ্ধ স্যাঁতস্যাঁতে রুমে যার একটি জানালাও নাই সম্পৃন্ন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে ম্যাডামের এই কোচিং সেন্টার। আনুমানিক ২৫০ স্কয়ার ফিট রুমে প্রতি বারে ৩০/৩৫ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করে। ইভা ম্যাডাম অভিভাবকদের কুষ্টিয়ার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জিলা স্কুল ও গার্লস স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেবে বলে তার কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে। তিনি প্রতি দুই মাসের টাকা অগ্রিম নিয়ে থাকে। প্রতি মাসে এক হাজার টাকা নিয়ে থাকে ।
ইভা ম্যাডামের কোচিং সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে একটি বদ্ধ ঘরে ৩০/৩৫ জন শিক্ষার্থী ক্লাস করছে। ফেরদৌসী নামের একজন মহিলা দরজা খুলে দেন আমরা জিজ্ঞাসা করি এখানে কোচিং করা হচ্ছে কিনা তিনি বলেন হ্যাঁ হচ্ছে আমরা ভেতরে ঢুকতে চাইলে পিছন দিক দিয়ে ঢুকতে হবে বলে আমাদেরকে দরজার সামনে ১৫ মিনিট থেকে ২০ মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখে তার কিছুক্ষণ পর ইভা ম্যাডামের হাসবেন্ড সাইফুদ্দিন আহাম্মেদ কুলু আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং বলেন যে করোনাকালের একটু স্বাভাবিক হওয়ার জন্য আমরা কোচিং শুরু করেছি। আমরা তাঁর কাছে কোচিং এর ভিতরে দেখতে চাইলে তিনি আমাদেরকে ভেতরে নিয়ে যান কিন্তু আমরা ভিতরে যেয়ে ইভা ম্যাডামকে পাইনা। সেখানে ফেরদৌসি নামে যে মহিলা ছিলেন তিনি বলেন আমি ইভা ম্যাডামের সহকারী হিসাবে কাজ করি আমি ক্লাস নিচ্ছি। ইভা ম্যাডাম আমাদেরকে দেখে কোথায় যেন হাওয়া হয়ে যায়। আমরা তার সহকারীকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি উনি একটু অসুস্থ ডাক্তার দেখাতে গেছেন ।
ফেরদৌসী জানান, করোনার জন্য কিছুদিন কোচিং বন্ধ ছিল। গতমাস থেকে কোচিং শুরু করেছি। ইভা ম্যাডাম এখানে ক্লাস করান। আমি ইভা ম্যাডামের সহকারী। এখানে দুটি ব্যাচ করে কোচিং করানো হয়। ইভা ম্যাডাম কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইভা ম্যাডাম অসুস্থ। আপনাদের সাথে দেখা করতে পারবেন না ।
ইভা ম্যাডামের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা করোনা কালীন সময়ে কোচিং করাচ্ছি না। গত একমাস কোচিং করানো হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি ছিলাম না আমি পড়াইনি। এখানে জিলা স্কুল ও গার্লস স্কুলের এডমিশন কোচিং করানো হয়। আমরা কোন ভর্তিবাণিজ্য করিনা ।
কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসার জায়েদুর রহমান মোবাইলে বলেন যদি কোন স্কুলের শিক্ষক হতো তবে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতাম। যেহেতু তিনি কোন স্কুলের শিক্ষক না সেহেতু আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবোনা। তিনি বলেন এটা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন ।
Leave a Reply