আহাম্মেদ রাজু, কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়ায় শিলুন আলী ও রিদয় নামের দুই যুবকের বিরুদ্ধে দুসপ্তাহ এক কিশোরীকে (১৭) অপহরন করে ১৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি গত ৮ সেপ্টেম্বর ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী দুজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগী পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্তরা হলেন- মিরপুর উপজেলার বেশিনগর গ্রামের আজিজ বক্সের ছেলে শিলুন আলী (২২) এবং একই গ্রামের আশরাফুল মোল্লার ছেলে রিদয় (২৩)।
অপহরণ করে গণধর্ষণ করার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ২০২০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩ এর ৭/৯ (৩) ধারায় পিটিশন মামলা হিসেবে নিবন্ধন করেন। এবং মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে নারী ও শিশু দমন আইন ২০০০ এর ১৮ এর বিধান মতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তপূর্বক ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডের ধারা ১৭৩ এর অধীনে রিপোর্ট দাখিল করতে এবং এই আদেশ প্রাপ্তির পর তাৎক্ষনিকভাবে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যে উক্ত ট্রাইব্যুনালকে লিখিতভাবে অবহিত করার নির্দেশ দেয় আদালত।
গত ১ অক্টোবর কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সি মোঃ মশিউর রহমান এই নির্দেশ দেয় । জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরী ও আসামী পূর্ব পরিচিত। তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল ।
এমতাবস্থায় গত ৮ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে কিশোরী বাড়ির পাশের কুর্শা ব্রীজের উপর দাঁড়িয়ে ছিল। তখন আসামী শিলুন আলী ও রিদয় দুজন ইজিবাইক নিয়ে ব্রীজের উপর দাঁড়ায় এবং ভুক্তভোগী কিশোরীকে ইজিবাইকে চড়তে বলে। তখন ওই কিশোরী তাদেরকে বলে তোমাদের সাথে যাবো না। তখন তারা জোরপূর্বক মুখ চেপে ধরে ইজিবাইকের মধ্যে তোলে। তখন কিশোরী অজ্ঞান হয়ে যায়। পরের দিন সকাল ৮টার দিকে জ্ঞান ফিরলে দেখে একটি ছাদের ঘরের মধ্যে আছে। তখন মেয়েটি জিজ্ঞেস করে বলে- আমি কোথায়?। তখন শিলুন আলী বলে, তুমি কুষ্টিয়ায়। তোমার সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেছে।
এমতাবস্থায় মেয়েটি চিৎকার করলে তাকে মারধর করা হয়। এবং ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধান আসামী শিলুন আলী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এরপর ২৫ সেপ্টেম্বর ২ নং আসামী রিদয় ধর্ষণ করে। এবং ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে সিএনজি যোগে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ভুক্তভোগী পারিবার জানায়, মেয়েটি বাড়িতে ফিরে আসলে তাকে ও সাক্ষীদের নিয়ে ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে মিরপুর থানায় যাওয়া হয়। কিন্তু থানা পুলিশ পরের দিন যাওয়ার কথা বলেন। এরপর ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে আবারও তারা থানায় যায়। কিন্তু সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় বসে থাকার পরও থানা পুলিশ মামলা গ্রহনে অস্বীকার করে। এরপর তারা বিচারের দাবিতে আদালতে যায়।
এবিষয়ে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম বলেন, তদন্ত চলছে।
দেশতথ্য//এল//
Leave a Reply