গাইড বাঁধে ধ্বস, শেখ রাসেল হরিপুর-কুষ্টিয়া সংযোগ সেতু হুমকির মুখে
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত শেখ রাসেল হরিপুর-কুষ্টিয়া সংযোগ সেতুর গাইড বাধ ধ্বসে চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে সেতুটি। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় গড়াই নদীর বামতীরে সেতু সংলগ্ন ভাটিতে মাত্র ৪বছর পূর্বে নির্মিত এই গাইড বাধটির প্রায় ১০০মিটার ধ্বসে গেলো। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি)কর্তৃক সেতু নির্মাণের সাথেই নির্মিত নদীর তীর রক্ষা এই গাইড বাঁধটি নির্মানকালেই নানা অনিয়ম থাকায় এই ধ্বসের ঘটনা ঘটেছে। অনিয়মের বিষয়ে নির্মানকালেই স্থানীয়রা অভিযোগ তুললেও তা কতৃপক্ষ আমলে নেননি। অভিযোগ নাকচ করে এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জাহিদুর রহমান মন্ডল জানান, ওই সময় আমি এখানে ছিলাম না। কাজটি কিভাবে হয়েছে সেসব নথিপত্র না দেখে এমুহুর্তে বলতেও পারছি না। তাছাড়া নদীর পাড় রক্ষার দায়িত্ব এলজইডির নয়; অনেক আগেই এবিষয়টি দেখার জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দাপ্তরিক পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী পিযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু জানান, নদীতে এখন পানি কমছে সেই সাথে তীব্র ¯্রােতে তলদেশে স্কাউরিং হওয়ার ফলে এই গাইড বাধ ধ্বস হতে পারে। তাছাড়া এটি নির্মাণ করেছিলো এলজিইডি, ওরা ভালো বলতে পারবেন কোন নির্মাণ ত্রুটি ছিলো কি না।
কুষ্টিয়ায় ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের বাধা
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ায় ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের ধর্ষন-জুলুমের প্রতিবাদে বের করা বিক্ষোভ মিছিল পুলিশের বাধায় পন্ড হয়ে গেছে।
শুক্রবার বিকালে বড় বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পুলিশ বাধা প্রদান করে। এতে ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা বাধা প্রাপ্ত হয়। শেষ পর্যন্ত তারা এনএস রোডের উপর পুলিশের বাধার মুখে দোয়া মোনাজাত করে কর্মসূচী সমাপ্ত করেন।
কুষ্টিয়ায় রেল প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ
এনামুুুল হক, কুষ্টিয়া:
বাংলাদেশ রেলওয়ে কুষ্টিয়ার উর্দ্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ওয়ে) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে গাছ কর্তনের অভিযোগ উঠেছে।
সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ায় অবস্থিত উর্দ্ধতন উপ সহকারি প্রকৌশলী (পথ) বাংলাদেশ রেলওয়ে, কুষ্টিয়া অফিস চত্বরের মধ্য থেকে সম্প্রতি মেহগনি গাছের ডাল কেটে বিক্রি করেছেন উর্দ্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
এছাড়াও ওই অফিসের একটি নিম গাছ কেটে রেখেছেন ও অপর একটি নিম গাছ কর্তনকালে অফিসের অন্যান্যদের বাধার মুখে পড়েন তিনি। এ বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হলে তিনি তড়িঘড়ি করে নিম গাছের কাটা অংশ চট দিয়ে ঢেকে রেখে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। সরোজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।
এ গাছ কাটার বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত উর্দ্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী (ওয়ে) সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ওই মেহগনি গাছের ছায়া পড়াই অন্যান্য গাছের ক্ষতি হচ্ছিল। এছাড়াও অফিস বিল্ডিংয়ের ক্ষতি হচ্ছিল বলেই গাছটির ডাল কেটে ফেলা হয়েছে। নিম গাছ কাটার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিমগাছটি ঝরে পড়ে গেছে। তাই কেটে ফেলা হয়েছে। অপর আরেকটি নিম গাছের কিছু অংশ কেটে ফেলা হয়েছে কেন ? জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে চুপ করে থাকেন।
এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী( ১) বীরবল মন্ডল জানান, রেল চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয় এমন গাছ কাটার অনুমতি তার আছে। তবে অফিসের কোন গাছ কাটার কথা নয়।
আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব। যদি সে গাছ কেটে থাকে। আমরা তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় যুবজোটের মানববন্ধন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
সারাদেশে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ-খুন, দুর্নীতি, লুটপাটসহ দখলবাজির প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় জাতীয় যুবজোট মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। শনিবার বেলা ১১টায় শহরের এনএস রোডস্থ বকচত্বরে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হাসানের সভাপতিত্বে এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সারা দেশে আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়া নারী ও শিশুর প্রতি পাশবিক সহিংসতা এবং ধর্ষণের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, দেশব্যাপী নারী ও শিশু ধর্ষনসহ হত্যাকান্ডের ঘটনা মহামারি ব্যাধীর মতো সংক্রমিত হয়েছে। প্রতিটা ঘটনার পরই র্এ বিচার ও শাস্তির দাবিতে রাজপথে দাঁড়ানো এখন স্বাভাবিক রীতিতে পরিনত হয়েছে। এর প্রধান কারণ এজাতীয নিষ্ঠুর নির্মম ঘটনার সুষ্ঠু বিচারহীনতা। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০লাখ শহীদের আত্মবলিদান ও ২লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির মধ্যেদিয়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তার দাবিতে এখনও রাস্তায় দাঁড়াতে হয়। অথচ আত্মত্যাগে অর্জিত স্বাধীন দেশের সংবিধানের রক্ষা কর্তাদের ব্যর্থতার দায়েই আজ এই মহামারির মুখে দেশবাসী চরম বিপন্নের মুখে পড়েছে। দেশের সু-শাসন প্রতিষ্ঠায় যারা জনগণের ট্যাক্সের টাকার সম্মানী ভাতা বা মাসিক বেতনের বিনিময়ে নিজ নিজ অবস্থানে অর্পিত দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকার করেছেন তারা তাদের দায়িত্ব পালনে সম্পূর্নরূপে ব্যর্থতার কারণেই আজ বিচাহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা পেয়েছে যার ফলে দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা লাগাম ছাড়া বা নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়েছে। ক্রসফায়ার বা নতুন আইনের চেয়ে বেশী জরুরী প্রচলিত আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন। অন্যথায় শত সহ¯্র নতুন আইন করেও এর কোন সমাধান সম্ভব নয়। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গৃহবধু মীম হত্যাকান্ডে প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেফতারসহ দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবিতে একাধিক কর্মসূচী পালিত হলেও অদ্যবধি ৪সপ্তাহ অতিক্রম করলেও দৌলতপুর থানা পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে না পারাটা রহস্য জনক বলে দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সভাপতি হাজি গোলাম মহসিন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, কারশেদ আলম, সাবেক ক্উান্সিলর আকতার হোসেন, যুবনেতা মহব্বত আলী, আব্দুল আলীম, নাজমুল হাসান, সিদ্দিকুর রহমান বিদ্যুৎ, জাসদ নেতা আবু তৈয়ব, নারী নেতৃ ডালিয়া পারভিন ও ছাত্রনেতা আসিফ ইকবাল প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন যুবনেতা সাইফুজ্জামান রুবেল।
কুষ্টিয়া বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের ফার্মাসিস্ট যখন চিকিৎসক
মোমেছুর রহমান, কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়া শহরের বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের কুমার সানি কমল নামের এক ফার্মাসিস্টের কান্ড দেখে এলাকাবাসী হতবাক হয়েছে।
তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা তিনি দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসকের চেম্বারে বসে চিকিৎসকের অনুপস্থিতে নিজেই চিকিৎসক সেজে রোগী দেখে আসছেন।
গ্রাম অঞ্চলের সহজ-সরল রোগীদের বোকা বানিয়ে ক্লিনিকের চিকিৎসাপত্রে চিকিৎসাসহ রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে থাকেন তিনি। ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করেছেন ওই ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শারমিন আক্তার। ঘটনা সুত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরের মীর মশাররফ হোসেন রোড, কাটাইখানা মোড়ে অবস্থিত কুষ্টিয়া বক্ষব্যাধি ক্লিনিক। বর্তমান ওই ওই ক্লিনিকে একজন মাত্র মেডিক্যাল অফিসার রয়েছেন, তিনি হলেন ডাক্তার শারমিন আক্তার। ওই ক্লিনিকের আরেকজন মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আসাদুজ্জামান ফিরোজ। তিনি ইতিপূর্বে ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক হন। যার কারণে তিনি সাসপেন্ড হয়ে আছেন। বর্তমান ডাক্তার শারমিন আক্তার ওই ক্লিনিকটি চালাচ্ছেন। কুষ্টিয়ার অন্যান্য চিকিৎসকদের মতো তিনিও প্রাইভেট রোগী দেখতে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করতে ব্যস্ত থাকেন। অফিস সময়ে তাকে ক্লিনিকে পাওয়া যায় না। আর এই সুযোগটি কাজে লাগান ফার্মাসিস্ট কমল। তার সাথে সখ্যতা রয়েছে শহরের কতিপয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক মালিকদের সাথে। রোগীদের নির্দিষ্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পাঠিয়ে সেখান থেকে বাগিয়ে নেন কমিশন। সম্প্রতি কুষ্টিয়া শহরের এক রোগী ওই ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গেলে ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। গত বুধবার ওই ক্লিনিকে সরেজমিনে গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ক্লিনিক ছেড়ে পালিয়ে যান ফার্মাসিস্ট কমল। ক্লিনিকের অন্যান্য স্টাফরা উপস্থিত থাকলেও ক্লিনিকের মেডিকেল অফিসার শারমিন আক্তার উপস্থিত ছিলেন না। তবে সাংবাদিকরা এসেছে, সংবাদ পেয়ে তিনি ছুটে আসেন এবং সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। কারণ ফার্মাসিস্ট ফেঁসে গেলে তিনিও ফেঁসে যাবেন। তার অনুপস্থিতিতে ফার্মাসিস্ট কমল রোগী দেখেন সেটি তিনি জানতেন। ক্লিনিকে বসে রোগী দেখেন ফার্মাসিস্ট আর ম্যাডাম প্রাইভেট নিয়ে ব্যস্ত থাকেন এটাই বাস্তবতা। দুজনেই অতিরিক্ত টাকা আয় করতে অনিয়ম করে আসছেন। শেষ পর্যন্ত সাংবাদিকদের ম্যানেজ করতে না পেরে তিনি ছুটে যান সিভিল সার্জনকে ম্যানেজ করতে।
এ ব্যাপারেে অভিযুক্ত ফার্মাসিস্ট্ কমলের ০১৭১৭৭৬০৫৩৮ নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডাক্তার এইচ এম আনোয়ারুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবে তিনি বলেন ওই ফার্মাসিস্টের কোন অধিকার নেই রোগী দেখার আমি অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এ ব্যাপারে লিখিত নোটিশ করব।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া শহরের কাস্টম মোড়ে অবস্থিত শাপলা ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের পর ভুল চিকিৎসায় শাপলা (২৫) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়। এ অপারেশনটি করেন ডাক্তার শারমিন আক্তার।
নিহত গৃহবধূ শাপলা কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের সুন্দিনন্দলালপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে জুয়েল রানার স্ত্রী।
কুষ্টিয়া বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের চিকিৎসক ডাক্তার শারমিন ও ডাক্তার সাবনাজ মুস্তারি রোগির সিজারিয়ান অপারেশন করলে পুত্র সন্তান প্রসব করেন ওই রোগী। এ অপারেশনের পর থেকেই রোগীকে চিকিৎসা না দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা রোগীকে ফেলে রাখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। গভীর রাতে হঠাৎ ওই রোগী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে পরের দিন ২ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে রোগী মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে মৃত্যুবরণ করে। এ সময় সেখানে রোগীর স্বজনদের আহাজারিতে স্থানীয়রা পুলিশকে সংবাদ দেয়। এ সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা তাপস কুমার পাল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। পরবর্তীতে সেখানে সংবাদ পেয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জুবায়ের হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
এ ঘটনায় ভাম্যমান আদালত ওই ক্লিনিক সিলগালা করে দেন
কুষ্টিয়ায় মাদকসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি)
গতকাল শুক্রবার ৯ই অক্টোবর দুপুরে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় ১ কেজি গাঁজা এবং ১টি পুরাতন ২৪” টিভিসহ শ্রী বিশ্বনাথ বিশ্বাস(৩৪) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে বিজিবি।
আটককৃত বিশ্বনাথ কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ার প্রশান্ত কুমার বিশ্বাসের ছেলে। আটককৃত মাদকদ্রব্য এবং টিভির সিজার মূল্য ৪৮,০০০ (আটচল্লিশ হাজার) টাকা।
আটককৃত মাদকদ্রব্য ও টিভিসহ আসামীকে দৌলতপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে |অন্যদিকে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলাধীন ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) এর অধীনস্থ চরচিলমারী বিওপি’র টহল কমান্ডার নায়েক মোঃ রোকনুজ্জামান এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আকন্দপাড়া মাঠ নামক স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় ১০০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও ১০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করেছে বিজিবি, যার মূল্য প্রায় ২,৪০,০০০ (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা।
এদিকে বিকেলে রামকৃষ্ণপুর বিওপি’র টহল কমান্ডার নায়েক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান এর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছাইডোবা মাঠ নামক স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন অবস্থায় ভারতীয় ৬৩(তেষট্টি) বোতল জেডি মদ উদ্ধার করেছে বিজিবি, যার মূল্য প্রায় ৬৩,০০০ (তেষট্টি হাজার) টাকা।
কুষ্টিয়ায় নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
সারাদেশব্যাপী নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ এর প্রতিবাদে কুষ্টিয়া শহরের পাবলিক লাইব্রেরির সামনে বিভিন্ন সংগঠনের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
আজ ১০ অক্টোবর ২০২০ (শনিবার) সকালে এ মানববন্ধনে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, কুষ্টিয়া জেলা শাখা,বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, কুষ্টিয়া জেলা শাখা,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সহ বিভিন্ন সংগঠন এর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ সকল সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
“গর্জে উঠে, রুখে দাঁড়াও,ধর্ষণ সহ সকল অনাচার থেকে সমাজ বাচাঁও” স্লোগান নিয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, কুষ্টিয়া জেলা শাখা,অব্যাহত হারে বৃদ্ধি পাওয়া ধর্ষণ, নারীর প্রতি সহিংসতা সহ সকল প্রকার সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে রুখে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।
কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের নির্বাহী সদস্য পদে টিপু সুলতান নির্বাচিত
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের ১৩ নং নির্বাহী সদস্য পদের জন্য উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহন পুলিশী নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ৯ই অক্টোবর সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত কুমারখালী উপজেলার পান্টি কলেজে ভোট গ্রহন শেষে ২ টা ৫ মিনিটে গণনা শুরু হয়। ২ টা ২০ মিনিটে প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপণে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
ফলাফলে তালা মার্কা প্রতীকে ২৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন মোঃ টিপু সুলতান (প্রভাষক)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতি মার্কা প্রতীক নিয়ে মেহেদী হাসান সিদ্দীক (২৩ ভোট) এবং টিউবওয়েল মার্কা প্রতীক নিয়ে মোছাঃ সাবিনা খাতুন (১১ ভোট) পেয়েছেন।
জানা যায়, জেলা পরিষদের ১৩ নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার সহ মোট ভোটার সংখ্যা ৬৫ জন। তন্মধ্য ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত হয়েছেন ৬২ জন ও অনুপস্থিতির সংখ্যা ৩ জন এবং ভোট বাতিলের সংখ্যা শূণ্য।
কুষ্টিয়া এলজিইডির দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার এলজিইডির দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ মারধর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ভাইরাল।
যেখানে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে আন্দোলন চলছে সেখানে এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও পাওয়া যায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে দুই যুবককে কয়েকজন মিলে পেটাচ্ছে এবং কান ধরে ক্ষমা চাওচ্ছে। কুষ্টিয়া এলজিইডির দুই উপ-সহকারী প্রকৌশলী এক গৃহবধুকে ইভটিজিং করায় ওই গৃহবধুর স্বামী কৌশলে কুষ্টিয়া থানাপাড়া এলাকায় ডেকে এনে মারধর করে। ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় ওই দুই কর্মকর্তাকে কান ধরাচ্ছে এবং চড় থাপ্পড় ও লাথি মারতে। সেখানে ইমরানের গেঞ্জি খুলে পেটাচ্ছে স্থানীয়রা। তারা দুজনই ক্ষমা চাচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে।
ইভটিজিংয়ের শিকার ওই নারীর স্বামী জানান, আমরা মার্কেটে গিয়েছিলাম। কুষ্টিয়া এন.এস. রোর্ডের মিশন স্কুলের সামনে আমার স্ত্রী দাঁড়িয়ে ছিল আমার অপেক্ষায়। আমি তখন রাস্তার অপর প্রান্তে ছিলাম এমন সময় আমার স্ত্রীকে একা পেয়ে দুই যুবক মোটরসাইকেল যোগে এসে দাঁড়িয়ে একটি কাগজে নাম্বার লিখে বুকে ছুড়ে দেয় এবং বাজে মন্তব্য করে। আমার স্ত্রী কান্নাকাটি করে আমাকে ডাক দিলে ওই দুই যুবক পালিয়ে যায়। পরে তাদের ছুড়ে দেওয়া চিরকুটে লেখা নাম্বারে কৌশলে ফোন দিয়ে ডেকে আনা হয়। সেখানে তারা তাদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাই। এসময় উপস্থিত জনতা তাদের মারধর করে।
পরে তাদের পরিচয় জানা যায় তারা দুজন কুষ্টিয়া এলজিইডি অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী। একজনের নাম প্রকৌশলী মোকার রবিন ও অপর জনের নাম প্রকৌশলী ইমরান হোসেন। মোকার রবিন কুষ্টিয়া এলজিইডির খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং ইমরান হোসেন কুষ্টিয়া এলজিইডির দেশব্যাপী গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের উপ-সহকারী প্রকৌশলী। এদিকে ইভটিজিংয়ের শিকার ওই নারীর স্বামী বলেন সম্মানের ভয়ে আমরা এবিষয়ে থানাতে অভিযোগ করিনি।
এদিকে একটি সূত্রে জানা যায়, এই দুই কর্মকর্তা এর আগেও এমন ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। এরা সন্ধ্যার পর একসাথে মোটরসাইকেল যোগে বের হয়ে একটু সুন্দরী নারী দেখলেই নাম্বার ছুড়ে দেয় এবং ইভটিজিং করে।
প্রকৌশলী মোকার রবিন মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেয়। প্রকৌশলী ইমরান হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুর রহমান মন্ডলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে এধরনের কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভিডিও ভাইরালের বিষয়টি আমি আপনার কাছ থেকে শুনলাম।
কুষ্টিয়া এলজিইডির সুপারেন্টেন ইঞ্জিনিয়ার (AC) প্রকাশ চন্দ্র বিশ্বাসের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এই বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিস্তারিত জেনে ফলোআপ দিতে বলেছি।
Leave a Reply